বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি, আগামী নির্বাচন ও দলের নীতিনির্ধারণী বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন। তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে “বন্ধুবান্ধবের সরকার” হিসেবে বর্ণনা করেছেন এবং এটিকে নির্দলীয় ও এনজিও সরকার বলে উল্লেখ করেছেন। জাতীয় নাগরিক পার্টির উদ্দেশ্য সম্পর্কে তিনি বলেন, এটি দেশের স্বাধীনতা অস্বীকার করার চেষ্টা এবং নতুন সংবিধান লেখার অপপ্রয়াস। […]" />
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি, আগামী নির্বাচন ও দলের নীতিনির্ধারণী বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন। তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে “বন্ধুবান্ধবের সরকার” হিসেবে বর্ণনা করেছেন এবং এটিকে নির্দলীয় ও এনজিও সরকার বলে উল্লেখ করেছেন।
জাতীয় নাগরিক পার্টির উদ্দেশ্য সম্পর্কে তিনি বলেন, এটি দেশের স্বাধীনতা অস্বীকার করার চেষ্টা এবং নতুন সংবিধান লেখার অপপ্রয়াস। তিনি মনে করেন, বর্তমান সংবিধানই যথেষ্ট, যা সময়ের প্রয়োজনে সংশোধন করা যায়।
নির্বাচন নিয়ে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, বিএনপি দ্রুত নির্বাচন চায়, তবে সংস্কারের প্রক্রিয়া চলমান থাকবে। তিনি বলেন, “সংস্কারের জন্য নির্বাচন থেমে থাকতে পারে না।” তিনি আরও যোগ করেন, সরকার নির্বাচন নিয়ে গড়িমসি করলেও বিএনপি ধৈর্য ধরেছে, তবে অনন্তকাল ধৈর্য ধরা হবে না।
ওয়ান-ইলেভেনের ষড়যন্ত্রের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ওয়ান-ইলেভেনের কুশীলবরা এখনো সরকারকে পরামর্শ দিচ্ছে। তিনি দুর্নীতির বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, “ঘৃণিত এক দুর্নীতিবাজ সরকার হটানোর পরও দুর্নীতি চলমান আছে।”
নির্বাচনের দাবিতে বিএনপির আন্দোলন সম্পর্কে তিনি বলেন, ১৭ বছর ধরে তারা সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি করে আসছে এবং এই দাবি থেকে সরে যাওয়ার কোনো কারণ নেই। তিনি বলেন, “আমরা রক্ত দিয়েছি নির্বাচনের জন্য।”
জাতীয় নাগরিক পার্টি সম্পর্কে তিনি বলেন, নতুন দলের পেছনে সরকারের সমর্থন রয়েছে। তিনি ওয়ান-ইলেভেনের সময়ের কথা স্মরণ করে বলেন, “কিংস পার্টি বানিয়ে টিকে থাকা কঠিন।”
সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সতর্কবাণী সম্পর্কে তিনি বলেন, সেনাপ্রধান নির্বাচনের বিপক্ষে নন, বরং রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে রেষারেষি বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন।
আওয়ামী লীগ সম্পর্কে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের ‘এ’ গ্রেডের নেতারা দেশে নেই এবং শেখ হাসিনা দেশে ফিরলে তার বিচার হওয়া উচিত। তিনি আরও বলেন, বিএনপি কোনো দলকে নিষিদ্ধ করার পক্ষে নয়, জনগণই দলগুলোর ভাগ্য নির্ধারণ করবে।
ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণের পছন্দকে সম্মান করে ভারতকে কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়ন করতে হবে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরার বিষয়ে তিনি বলেন, তারেক রহমান যেকোনো সময় দেশে ফিরতে পারেন।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের এই সাক্ষাৎকারে নির্বাচন, সংস্কার ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বিএনপির অবস্থান স্পষ্ট হয়েছে।