গণশক্তি ডেস্কঃ অপ্রত্যাশিত দুর্ঘটনার কবলে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে রাজউকসহ সংশ্লিষ্ট আইন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। পুলিশ অভিযোগ বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়নি বলে মনিরুজ্জামান দাবি করলেও সিআইডির দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা কালবেলাকে বলেছেন, অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে ফ্ল্যাট মালিকদের সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য নোটিশ করা হয়েছে। কয়েকজনের সাক্ষ্যও নেওয়া হয়েছে। পুলিশ সূত্র বলছে, বিসিএস ক্যাডারের পুলিশ […]" />
গণশক্তি ডেস্কঃ
অপ্রত্যাশিত দুর্ঘটনার কবলে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে রাজউকসহ সংশ্লিষ্ট আইন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে।
পুলিশ অভিযোগ বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়নি বলে মনিরুজ্জামান দাবি করলেও সিআইডির দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা কালবেলাকে বলেছেন, অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে ফ্ল্যাট মালিকদের সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য নোটিশ করা হয়েছে। কয়েকজনের সাক্ষ্যও নেওয়া হয়েছে।
পুলিশ সূত্র বলছে, বিসিএস ক্যাডারের পুলিশ সুপার মর্যাদার একজন কর্মকর্তা সব মিলিয়ে মাসে ৯০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকার মতো বেতন-ভাতা পান। কিন্তু অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ ইউনিটে দায়িত্ব পালন করেও এসপি শামীমার এত সম্পদের মালিকানা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অনিয়ম-দুর্নীতি ছাড়া এত বিত্ত-বৈভবের মালিক হওয়া সম্ভব নয় বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ম্যাগনোলিয়ার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য ফ্ল্যাটের মালিকসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এসপি শামীমার মালিকানাধীন ম্যাগনোলিয়া অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্সের চারটি ফ্ল্যাটের দাম অন্তত ৮ কোটি টাকা।
অন্যান্য সম্পদ
সূত্র বলছে, রাজধানীর নিউ ইস্কাটনে শান্তিকুঞ্জ আবাসিক এলাকায় ‘কসবা লিলি অ্যাপার্টমেন্ট’ ভবনে ৩/এ, ৩/বি এবং ৫/বি নম্বরের তিনটি ফ্ল্যাটের মালিক এসপি শামীমা ইয়াসমিন। এগুলোর মূল্য অন্তত ৭ কোটি টাকা। একই এলাকায় ‘আরবান সেন্টার পয়েন্টে’ আড়াই কোটি টাকা দিয়ে একটি ফ্ল্যাট (৯/ডি) কিনেছেন তিনি। এ ছাড়া নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ জাদুঘরের পাশে ৫২ বিঘা জমি তিনি নিজের নামে এবং বেনামে কিনেছেন বলে খবর মিলেছে। ওই জায়গার বাজারমূল্য প্রায় ৪৮ কোটি টাকা।
এর বাইরে শামীমা ইয়াসমিনের ঘনিষ্ঠ সূত্র বলছে, গুলশানে শামীমার ১০ কাঠার প্লট রয়েছে, যা তিনি নিজেই বিভিন্ন আড্ডায় দম্ভ করে বলে থাকেন। গুলশানের ১০ কাঠার প্লটের দাম অর্ধশত কোটি টাকার বেশি। তা ছাড়া ওই এলাকায় তার দুটি ফ্ল্যাটও রয়েছে। এসব সম্পত্তি তিনি গড়েছেন বিভিন্ন স্বজনের নামে। তবে গুলশানের এসব সম্পত্তির তথ্য যাচাই করা সম্ভব হয়নি।